ভুঁইফোঁড় শিব আর কাদুনে প্রতিমা । বিজ্ঞান অবিজ্ঞান অপবিজ্ঞান
শিবঠাকুর
একবার নাকি একেবারেই ভুঁই ফুঁড়েই উঠেছিলেন-খোদ বেনারসে। পুরোনো লোকের মুখে শোনা,
বছর চল্লিশ-পঞ্চাশ আগেকার কাহিনী।
বাঘা বাঘা
অলৌকিক আর দৈব ঘটনার সাক্ষী এই ‘পূণ্যধাম’ বারানসী। কিন্তু এ-ঘটনার যেন তুলনা নেই।
দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল সংবাদ। দেবমাহাত্ম্যের ছটায় শীর্ণ-দীর্ণ মানুষজনের বুকে
অপার প্রত্যাশার বান ডেকে যায়-আর দুঃখ নেই, কলিকালের শেষ। আর তক্ক নয়, অবিশ্বাস
নয়; শুধু ফুল চড়াতে হবে, পাতা চড়াতে হবে, জল ঢালতে হবে বাবার মাথায়। আর হ্যাঁ,
সেবাইতের দক্ষিণাটাও চাই। ব্যাস, মুশকিল আসান।
ঘটনাটা
এই-সময়ের সাথে সাথে একটু একটু করে শিবলিঙ্গ মাটি ফুঁড়ে উঠে আসছে আপনা আপনি।
বেনারসের বিস্মিত বিমূঢ় ভক্তজন চোখ ভরে প্রাণ ভরে দেখছে বাবার উত্থান। কোনো ভুল নেই, কোনো দৃষ্টিবিভ্রম নেই, একেবারে ফটফটে সূর্যের আলোয় মাটির
ফাটল দিয়ে উঠে আসছে শিবলিঙ্গের মাথা।...
কিন্তু
এমন তাজ্জব ঘটনার সমাপ্তিটা ছিল ততোধিক চমকপ্রদ। রোমাঞ্চকর রহস্যটা কেমন করে না-জানি
ফাঁস হয়ে গেল! উত্থিত শিবলিঙ্গের ঠিক নিচেই, মাটির মধ্যে পাওয়া গেল এক বস্তা ছোলা।
আগেভাগে মাটি খুঁড়ে পোঁতা হয়েছিল এটি, তার ওপর বসানো হয়েছিলো শিব। অতঃপর স্বাভাবিক
প্রক্রিয়াতে শুকনো ছোলা ভিজে মাটির জলীয় অংশ টেনে নিয়ে ফুলতে শুরু করেছে। এক বস্তা
ছোলা অঙ্কুরোদগমের তাড়নায় ক্রমশ ফুলছে, চাপ বাড়ছে। আবদ্ধ গর্তে চারপাশে বাড়বার জায়গা
নেই, তার মাথার ওপর স্বয়ং শিব। অথচ বেড়ে ওঠার জায়গা কেবল ওপরেই। বস্তা ভর্তি ছোলার
সম্মিলিত চাপ বা ধাক্কা সামলাতে পারে না সেই কৃষ্ণবর্ণের বেসল্ট পাথরের খন্ডটি।
তাই শিবঠাকুর একটু একটু করে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে আর দর্শকের বিস্ময়ের মাত্রা বাড়ে।
( আর লাফ দিয়ে বাড়ে সেবাইতের ফুর্তি!) এই অভিনব কৌশলের শেষ-রক্ষা হয় নি, অঙ্কুরিত
ছোলায় ভরা বস্তা বেরিয়ে পড়েছে জাগ্রত শিবের তলা থেকে।
এতো অনেক
দূর। অতদূরে যাওয়ার দরকার নেই। খোদ কলকাতাতেই বিশের দশকে (সম্ভবত ১৯২৮ সালে) অবিকল
একইভাবে ভুঁই ফুঁড়ে উঠেছিলেন- শিব নন, কালী। কার প্রতি নাকি স্বপ্নাদেশ হয়েছিলো-
গঙ্গার তীরে ইডেন গার্ডেনে হাজার বছর ধরে বন্দিনী মা কালী; তাঁর বন্দীদশা শেষ
হয়েছে, এবার তিনি মেদিনী ফাটিয়ে উঠছেন। যথারীতি ভিড় উপচে পড়ল। দর্শকের
বিস্ময়বিহ্বলতার সীমা ছাড়িয়ে দেবীর আবির্ভাব হলো। তারপর সে বিগ্রহ মহাধুমধামে প্রতিষ্ঠিত হলো দক্ষিণেশ্বরের কাছে আদ্যাপীঠের
মন্দিরে। এর মধ্যে ছোলার বস্তা রহস্য ফাঁস হয়েছে। সাহস করে এগিয়ে এসেছেন কয়েকজন
সত্যানুসন্ধানী। সন্দেহ-তর্ক-অভিযোগ ক্রমে দানা বাঁধতে থাকল। নাটকের কর্ণধারেরা
প্রাথমিক আস্ফালনের পর একটু কোণঠাসা হয়ে পড়লেন- কয়েক সহস্র বছরের প্রাচীন কালী
মূর্তি ওভাবে আগের রাতে মাটিতে পুতে রাখা সম্ভব? একি পাগলের প্রলাপ নয়? ডাক পড়ল
বিখ্যাত ঐতিহাসিক ও প্রত্মতাত্ত্বিক রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়ের। তিনি আদ্যাপীঠে প্রতিষ্ঠিত
সেই কালী বিগ্রহ দেখে, পরীক্ষা করে, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় মত দিলেন; এই মূর্তি
একেবারেই নবীন, হালে তৈরী। একে কয়েক সহস্র বছরের প্রাচীন বলাটাই নিছক মুর্খামি বা
পাগলামি। কেলেংকারী ষোলকলায় পূর্ণ হলো। চতুরদিকে খবর ছড়িয়ে গেল। বোকা বোনার লজ্জায়
ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল বহু সাধারন মানুষ। জান-মান রাখতে আবার এক স্বপ্নাদেশের উছিলায় সে
কালী মূর্তি বিসর্জন দিতে হলো গঙ্গায়। এই ঘটনার পরে বেশ কয়েক বছর আদ্যাপীঠের
মন্দির বিগ্রহশূন্য ছিল। বর্তমানে যে দেবী প্রতিমা আদ্যাপীঠে রয়েছে তার প্রতিষ্ঠা
হয় মাত্র বছর কুড়ি আগে।
বিশাল
ভারতবর্ষের একোণে-সেকোণে আজও এমন ঘটনা ঘটে চলে। কেউ ঠাকুর খুঁজে পান স্নান করতে
গিয়ে, কেউবা বিগ্রহ উদ্ধার করেন স্বপ্নে জায়গা খুঁড়ে। আগেভাগেই জলে বা মাটিতে পাথরটা
পুঁতে রেখে এসে পরে স্বপ্নের কথাটা প্রচার করা হয়, ঘটনাটিতে অলৌকিকত্ত্ব আরোপ করার
জন্য, এই রুঢ় বাস্তব সম্ভাবনার কথা আমাদের দুর্বল মনে সহজে যায়গা পায় না। কেন পায়
না সে আলাদা সমস্যা। কিন্তু এ সমস্যা শুধু আজকের নয়। মানুষের দুঃখ, দুর্বলতা,
অসহায় পরিণতিতে ঈশ্বর-নির্ভরতার সুযোগ নিয়ে শুধু এই ঘোর কলিতেই নয়, অতীতের তথাকথিত
‘স্বর্ণযুগে’ও লোকঠকানো ব্যবসা চলত রে-রে করে। চলত সরাসরি রাজ অনুগ্রহেই। ব্যবসার
সিংহভাগ রাজাই দখল করতেন। অবশ্য এসব কথা সাধারণ প্রজার কাছে গোপন থাকত। অন্তত ২২০০
বছর আগেও এই ঘৃণ্য জুয়াচুরির মাধ্যমে প্রজাশোষণের উল্লেখ করে গেছেন সম্রাট
চন্দ্রগুপ্ত-মন্ত্রী বর্ণগর্বী বুদ্ধিজীবী কৌটিল্য তাঁর বর্ণাশ্রম রক্ষার নীতি ও
উপদেশ-গ্রন্থ “অর্থশাস্ত্রে”র পঞ্চম অধিকরণের দ্বিতীয় অধ্যায়ে।
“কোনও প্রসিদ্ধ পুণ্যস্থানে ভূমি ভেদপূর্বক দেবতা নির্গত হইয়াছেন এই ছলে সেখানে রাত্রিতে
বা নির্জনে একটি দেবতার বেদী স্থাপন করিয়া ও এই উপলক্ষ্যে উৎসবাদি ও মেলা বসাইয়া সেই
স্থানে শ্রদ্ধালু লোকের প্রদত্ত ধন দেবতাধ্যক্ষ গোপনে রাজ-সমীপে অর্পণ করিবেন।” (কৌটিল্য, অর্থশাস্ত্র,
৫ম অধিকরণ, ২য় অধ্যায়, ৯০তম
প্রকরণ)। সেনাধ্যক্ষের মত দেবতাধ্যক্ষ। কৃষিবিভাগ, সেনাবিভাগের মতো দেবতাবিভাগ। মঠ-মন্দির-বিগ্রহ সংক্রান্ত
দফতর। সেই দফতরের অধ্যক্ষই দেবতাধ্যক্ষ। ওর দায়িত্ব: “দেবতাধ্যক্ষ দুর্গের ও রাষ্ট্রের
দেবতাগণের ধন যথাযথভাবে একস্থানে একত্রিত রাখিবেন এবং সেইভাবেই রাজাকে আনিয়া দিবেন।” ( ঐ, ৫.২.৯০)। এ থেকেই বোঝা যায় যে, সেকালের ধর্ম-ব্যবসা কোনো বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছিল না, রীতিমতো
চেয়ার-টেবিল-বেয়ারা-পিওন শোভিত পুরোদস্তুর দফতরের পরিচালনায় এ ছিল এক সুসংগঠিত, চক্রান্তমূলক প্রক্রিয়া। লোক-ঠকানোর উপায়গুলোও ছিল বহুবিচিত্র-সাধারণ মানুষের
মানসিকতা সম্পর্কে সু-অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ মগজের চমকপ্রদ সে সব কৌশল।
“দেবতাধ্যক্ষ
ইহাও প্রচার করিতে পারেন যে, উপবনে একটি বৃক্ষ অকালে পুষ্প ও ফলযুক্ত হইয়াছে এবং
ইহা হইতেই সেখানে দেবতার আগমন নিশ্চিত হইয়াছে।” ( ঐ, ৫.২.৯০)। অতএব ভক্তগণ, মঙ্গলার্থে ফেলো কড়ি। “সিদ্ধপুরুষের বেশধারী গুপ্তচরেরা( শ্মশানাদির
নিকটবর্তী) কোন বৃক্ষে প্রতিদিন এক একটি মানুষ ভক্ষণার্থ কররূপে
দিতে হইবে এই মর্মে রাক্ষসের ভয় উৎপাদন করিয়া পৌর জানজনপদ হইতে বহু টাকা লইয়া সেই
ভয়ের প্রতিকার করিবে; অর্থাৎ রাক্ষসভয়ে স্বজীবণার্থ প্রদত্ত টাকা রাজাকে গোপনে
অর্পণ করিবে।” ( ঐ)। চমৎকার! অন্ধকারে ঘাপটি মেরে বসে দু-তিনটি নিরপরাধ মানুষকে
গুম করো। তারপর ভীতিবিস্মিত প্রজাদের কাছে লাল কাপড় আর জটায় সেজে গিয়ে বল, “রাক্ষস
এসেছে গো। ওকে না মারলে রোজ মানুষ খাবে।” অতএব দাও টাকা। রাক্ষস মারতে কতো খরচ,
যাগ-যজ্ঞ, পূজো-আচ্চা সবেতেই তো টাকার শ্রাদ্ধ।
“কোন
সুড়ঙ্গযুক্ত তিন বা পাঁচ সংখ্যা পরিমিত মস্তকযুক্ত নাগমুর্তি দর্শকবৃন্দকে দেখাইয়া
তাহাদের নিকট হইতে হিরণ্য বা টাকা উপহাররূপে লইবে এবং সেই টাকা রাজসমীপে অর্পণ
করিবে।” (ঐ)। তিন বা পাঁচ মাথাওয়ালা সাপ! যে সে জিনিস নয় বাছা, খোদ বাসুকির মেয়ের
ঘরের আপন নাতি। অতএব দাও কিছু। সাধারন কুয়োর মধ্যে খোঁড়া অনুভূমিক সুড়ঙ্গে লুকিয়ে
থেকে, সেই আধো-অন্ধকার পরিবেশে পাঁচমাথাওয়ালা সাপের মূর্তি দেখিয়ে তাকে জ্যান্ত
আসল সাপ বলে সরলমতি শ্রদ্ধালু মানুষজনকে বিশ্বাস করানো এমন কিছু কঠিন কাজ নয়। পয়সা
আদায়ের এমন দাঁও ছাড়া যায়?
সত্যিই ছাড়া
যায় না। আর সেই কারণেই দু-হাজার বছর পরেও এই জাতীয় চাতুরিতেই অর্থাগম হয় বহু
দেবস্থানে- কলকাতায়, পশ্চিমবঙ্গে, ভারতবর্ষে...।
কিন্তু এটাই
সব নয়। এই প্রতারণার মুখোশ ছেঁড়বার একটি সমান্তরাল ধারাও একইসঙ্গে প্রবাহিত হয়েছে।
যেমন দেখেছি আমরা ভুঁইফোঁড় শিব-কালীর ক্ষেত্রে।
একালের মতো
সেকালেও কিছু মানুষ ছিলেন যারা সহজে ঐ বুজরুকদের অপকৌশলগুলোকে মেনে নিতেন না; প্রশ্ন
করতেন, সন্দেহ প্রকাশ করতেন, অনুসন্ধান করতেন প্রত্যেকটি ব্যাপারে। মুষ্ঠিমেয়
স্বার্থান্বেষীরা যে জাল-জুয়াচুরি করে সাদাকে কালো করে দেখাত তার ফলে সাধারণ লোকের
শুধু তাৎক্ষণিক আর্থিক ক্ষতিই নয়, তাদের মনে জগত সংসার সম্বন্ধে এক ভুল, অবাস্তব,
কাল্পনিক ধারণার সৃষ্টি হতো। মানুষ হয়ে পড়ত মোহগ্রস্থ, ভীরু, অদৃষ্টবাদী। আর শোষণ
ও প্রভুত্বকে অব্যাহত রাখার জন্য এটাই তো চাই। এই মানসিক লুঠ, মানসিক ক্ষতিকে স্বীকার
করে নিতে মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না পুরনো আমলের বস্তুবাদীরা। ব্যবসার শত্রু এই
ধরণের অশ্রদ্ধালু লোকের শিক্ষার নামে বিলক্ষণ শাস্তির ব্যবস্থা করত তৎকালীন
রাষ্ট্র। চাণক্য পন্ডিত এদের সম্পর্কে বিধান দিয়েছেনঃ “যাহারা অশ্রদ্ধালু
তাহাদিগকে ভোজন ও স্নানাদি দ্রব্যে স্বল্পমাত্রায় বিষ মিশাইয়া মোহিত করিয়া ‘ইহা
দেবতার অভিশাপ’ বলিয়া প্রচার করিবে”। অর্থাৎ, আমাদের পেছনে লেগ না, তাঁর ফল ভালো
হবে না। এই ভীতিকর শিক্ষা
সর্বস্তরের মানুষের মনে গেঁথে দিতে হবে- এই ছিল চাণক্যের অভিমত।
আগের কথা
বাদ দিলেও বিগত সোয়া-দুই-হাজার বছর ধরে কৌটিল্য বর্ণিত পথে মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার
কলঙ্কময় অধ্যায়ের পাশাপাশি রয়েছে এর বিরোধিতার এক গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য। তাই তো
বিসর্জনের দিন মাটির প্রতিমার চোখ জলে ভিজে যাওয়ার মতো ঘটনা যেমন আজো ঘটে, তেমনি
আবার অসংখ্য মুগ্ধ জনতার ভিড়ের মধ্যে সেই মানুষদেরও খুঁজে পাওয়া যায়, যারা সেই
ক্রন্দনরতা দেবী মূর্তির পেছনের আসল রহস্যটা খুঁজে বের না করা পর্যন্ত শান্তি পান
না। বুঝতেই পারছেন, এই ‘দেবীর ক্রন্দন’ ব্যাপারটা মোটেই প্রাচীন নয়, একেবারে হাল
আমলের। বছর কয়েক আগে, দক্ষিণ কলকাতার হরিশ মুখার্জি রোডে ২৩-পল্লীর দূর্গোৎসবে সেই
দূর্গার কান্নার দরুন প্রতিমার বিসর্জন বন্ধ হওয়ার ঘটনা যে-কোনো কলকাতাবাসীরই মনে
পড়বে। মায়ের চোখের জল শুকোয় না, প্রতিমারও বিসর্জন হয় না। এভাবে কিন্তু বেশিদিন
যায় নি। কিছুদিনের মধ্যেই যখন দেখা গেল যে, পুরো ব্যাপারটা জমি দখলের এক
চক্রান্তের সাথে জড়িত বলে খবর প্রকাশ হচ্ছে, তখন ঢাক-কাঁসি পিটিয়ে কাঁদুনে
প্রতিমার বিসর্জন হলো।
একইসঙ্গে
মনে পড়বে ২৩-পল্লী থেকে আরেকটু উত্তরে রূপনারায়ন নন্দন লেন আর শম্ভুনাথ পন্ডিত রোডের মোড়ে শীতলা মন্দিরে
ক্রন্দনরতা প্রতিমার কথা। ১৯৬৮-৬৯ সালের কথা বলছি। কেঁদে কেঁদে চোখ লাল করছেন মা
শীতলা, তাই দেখতে কাতারে কাতারে ভিড়; আর দক্ষিণার নোট-মুদ্রায় থালা উপচে পড়ছে।
এ-নাটকের যবনিকা পড়তে বেশি সময় লাগে নি। গুঞ্জন শুরু হলো, অনুসন্ধানও হলো। কেউ
বললে প্রতিমার চোখ ঘামতেল, কেউ বললে গ্লিসারিন, কেউ বললে দেবী মূর্তির পেছন থেকে
সরু নল ঢুকিয়ে ফোঁটা ফোঁটা জল ফেলা হয়েছে চোখে। কাগজে খবর বেরিয়ে বেজায় হৈ-চৈ হলো।
ব্যবসার বাড়তি মুনাফা বন্ধ হলো।
এই
ঘটনাগুলির প্রেক্ষাপটে ভেসে ওঠে আগামীকালের সেইসব সচেতন মানুষের ছবি যারা এই ঘৃণ্য
জালিয়াতির মুখোশ খুলেই চলবেন সর্বত্র।
সাহায্যকারী সুত্র:
১। “কৌটিলীয় অর্থশাস্ত্র”, ড. রাধাগোবিন্দ বসাক কর্তৃক বঙ্গভাষায় কৃতানুবাদ, ২য় খন্ড, ১৬২৬ সং।
২। কার্জন পার্কে কালীমূর্তি উত্থানের চক্রান্তের সংবাদ প্রকাশিত হয় তদানীন্তন ‘ফরোয়ার্ড’, ‘বসুমতী’, বঙ্গবাসী’ প্রভৃতি পত্রিকায়। ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’র ভুতপূর্ব সম্পাদক সতোন্দ্রনাথ মজুমদারের একটি রচনাতেও ছোলার বস্তার জুয়াচুরির কথা লেখা হয়েছিল।
কৃতজ্ঞতাস্বীকার:নন্দগোপাল সেনগুপ্ত।
সংগ্রাহক: পলাশ সরকার, শিক্ষার্থী, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, চবি।
কোন মন্তব্য নেই