Header Ads

Header ADS

বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলাম: আমার কয়েকটি স্মৃতি - ময়ুখ চৌধুরী



১.

জামাল নজরুল ইসলামের মতো প্রতিভাদীপ্ত একজন মানুষের মূল্যায়ন করা আমার পক্ষে ধৃষ্টতা। অন্য অনেকের পক্ষেও তা দুষ্কর। পদার্থবিদ্যার গাণিতিক তলদেশ পর্যন্ত তাঁর বিচরণ ছিল সাবলীল। জটিল তত্তে¡র গভীরতা থেকে আলোচ্য বিষয়ের উপরিকাঠামোতে উঠে এসে মাঝে মধ্যে কিছু কথা তিনি বলতেন। তখন তিনি তাঁর চিন্তার প্রকাশ ঘটাতেন দার্শনিক ভঙ্গিমায়। তাঁর ঐ পর্যায়ের কথাবার্তার বিমোহিত শ্রোতা ছিলাম আমি।

আয়োনীয় পন্ডিত থেলিসের বিচিত্রমুখী কর্মকান্ডের সূত্রে আমার মনে হয়েছে, প্রমাণিত হওয়ার পূর্বস্তরে দর্শন আর বিজ্ঞান একাকার হয়ে থাকে। শিল্পকলার নগন্য প্রেমিক হিসেবে এও মনে হয়েছে, মানুষের যা কিছু কীর্তি, তা বস্তুর সঙ্গে ভাবের সংঘাতের ফলেই জন্ম নিয়েছে। এই সুবাদে নির্মাণের সঙ্গে সৃষ্টির ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তা আছে।

আমি বিজ্ঞানকে মান্য করি এবং দর্শনকে ভালোবাসি। একইভাবে, সম্ভবত একই কারণে আমি বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলামকে মান্য করি এবং ভালোবাসি। তাঁকে বিশ্বের নামজাদা বিজ্ঞানী ও দার্শনিকেরা গুরুত্ব দিয়েছেন, মান্য করেছেন, ভালোবেসেছেন, তাঁর নৈকট্য অর্জন করা যে কারো জন্যে সৌভাগ্যের ব্যাপার।

তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটবার তেমন কোনো সূত্র ছিল না। তিনি অধ্যাপনা করতেন গবেষণা করতেন অধ্যয়ন করতেন বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে। আমি চাকরি করতাম অন্য অনুষদে, আড্ডা মারতাম লাউঞ্জে। তিনি সাধারণ কারো বাসায় যেতেন না, তবে বিভিন্ন সেমিনারে কিংবা অনুষ্ঠানে যেতেন। কিন্তু আমি হলাম গিয়ে স্বভাবতই অনুষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানবিমুখ। সে জন্যেই বলছিলাম দেখা হওয়ার তেমন কোনো সুযোগ ছিল না। তারপরও, কীভাবে পরিচয় ঘটলো তা বলি।

২.

সম্ভবত ২০০০ সাল। আমি তখন শহরে থাকতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করতাম বাসে। যাত্রার একঘেঁয়েমি কাটাবার জন্যে নানান বিষয়ে গল্প জুড়ে দিতাম। কখনো ক্রিকেট, কখনো সিনেমা, কখনো গান কিংবা অন্য কিছু। কারো কারো হয়তো ভালো লাগতো না। সেটা বুঝে কখনো কখনো চুপ করে থেকেও দেখেছি। সেটাও আবার অনেকে চাইতো না। তারা আমাকে একটু করে উস্কে দিত- যাতে আমি কিছু একটা বলি।

সেদিন আমার পাশে বসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের কিউরেটর পুরাতত্ত¡প্রেমিক শামসুল হোসাইন, যিনি বাহাদুর ভাই নামে সুপরিচিত। পুরোনো সিনেমা নিয়ে কথা উঠলো। কোন সিনেমা নিয়ে কী ঘটনা ঘটেছিল; কতোটুকু সত্য, কতোখানি রটনা- এইসব মজার কথা হচ্ছিল। তার মধ্যে একটা গুজব ছিল এ রকম।

১৯৫৬ সালের ছবি ‘নাগিন’ স্থানীয় সিনেমা প্যালেসে মুক্তি পেয়েছিল। ছবিটির সুরকার ছিলেন হেমন্ত কুমার (মুখোপাধ্যায়)। সম্ভবত এটা তাঁর সেরা সুরারোপিত ছবি। এই কিছু কাল আগেও সাপুড়েরা যে সুরে বাঁশি বাজাতো সেই সুরটা ছিল ছবির থিম মিউজিক (মন ডোলে মেরা তন ডোলে)। ঐ সুর শুনে সিনেমা হলে নাকি সাপ ঢুকে পড়েছিল। শুধু তাই নয়, সাপের কামড়ে নাকি একজন দর্শকও মারা গিয়েছিল।

কিন্তু, সাপের শ্রবণশক্তি যে নেই, এটা তখনকার অনেক লোকই বোধহয় জানতো না- এখন জানে। তা সত্তেও মানুষের মনোযোগ আকর্ষণে সাপ এখনও অদ্বিতীয়। ব্যস, এরপর শুরু হলো সাপ নিয়ে।

মানুষ সাপকে ভয় পায়, সাপ কিছু মানুষকে আরও বেশি ভয় পায়। সাপ হলো প্রকৃতির ভীরুতম প্রাণীদের একটি। এটা যে ফোঁস ফাঁস করে, সেটা ভয় থেকেই করে। সে জন্যে, আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে আগেভাগেই কামড়ে বসে। ঝলমল করলে কি হবে!- অধিকাংশ সাপেরই বিষ নেই।

গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীতে আনুমানিক ৩৫০০ প্রজাতির সাপ আছে, তার মধ্যে এই উপমহাদেশেই আছে ২৫০০ প্রজাতির সাপ। এর মধ্যে বিষধর সাপ হচ্ছে ১৮.৫০%।

বিশ্ববিদ্যালয়-বাস চলছে, আর এদিকে সাপ নিয়ে কথা চলছেই। জলের সাপ কেমন, স্থলের সাপ কেমন, সাপ কীভাবে কামড়ায়, বিষের থলেটা কী রকম, কামড় দেওয়ার পর সাপ ধারে কাছে থাকে না কেন- ইত্যাদি।

অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী- এটা আমি জানতাম। কিন্তু, আমি কি জানতাম যে, আমার বকবকানির সময় পেছনের কোনো একটি সিটে বসা ছিলেন বিশ্বনন্দিত বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলাম! আমার মতো তুচ্ছ এক কথকের কথা তিনি যে মনোযোগ দিয়ে শুনেছিলেন, তার খেশারত আমাকে দিতে হয়েছিল।

৩.

একদিন সন্ধ্যার আগে একলোক এসে হাজির। পরিচয় দিল: জামাল নজরুল স্যারের গাড়ির ড্রাইভার। স্যার গাড়ি পাঠিয়েছেন আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। আনন্দ ও আতঙ্ক সহকারে তথ্যটা গিন্নিকে জানিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।

সার্সন রোডের পাহাড়ি টিলার ওপর তাঁর বাসভবন। হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানালেন তিনি। তারপর, সেদিনের তথাকথিত বক্তৃতার প্রশংসা করলেন ইংরেজিতে। বসার ঘরে তখন আরও কয়েকজন ভদ্রলোক। তার মধ্যে একজন সাহেব। জামাল স্যার পরিচয় করিয়ে দিলেন। ভদ্রলোক লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং বিজ্ঞানী। বিশেষত, সর্পতত্ত¡ বিষয়ে তিনি মাননীয় একজন পন্ডিত। মুহুর্তেই শীতকালীন সাপের মতো গুটিয়ে গেলাম। মুখ শুকিয়ে গেল, হাত-পা ভারী ভারী মনে হলো। (লে ময়ূখ চৌধুরী, ঠেলা সামলা। ‘নাগিন’ সিনেমা আর মনসার পুঁথি?- দ্যাখ, তোকে বাঁচায় কিনা)।

কিন্তু জামাল স্যার পরম স্নেহে আমাকে উজ্জীবিত করে তুললেন। উপস্থাপকের মতো খুঁচিয়ে দিলেন সেদিনের কথাগুলো বিশদভাবে বলবার জন্যে- লোকায়ত জীবনে সাপের ভূমিকা, সাপের মিথলজিক্যাল ভ্যালিউ ইত্যাদি প্রসঙ্গ।

স্যারের উৎসাহ কিছুক্ষণের মধ্য, আমি ধাতস্থ হলাম। এরপর লন্ডনি অধ্যাপকের কাছে সাপ বিষয়ে আমি নানান কিছু জানতে চাইলাম। এইটুকু আমি বুঝতাম যে, সাপের বিষক্রিয়ার ব্যাপারটা আপেক্ষিক। অর্থাৎ যে সাপটা কামড়ালো, সেটা কতোখানি পরিণত এবং যে প্রাণীটিকে কামড়ালো, তার অবস্থা কী রকম। তবুও আমার ধারণা ছিল-উপমহাদেশের মধ্যে কিং কোবরা, দক্ষিণ আমেরিকার এডার এবং আফ্রিকার ভাইপার সবচেয়ে বিষধর। কিন্তু ভদ্রলোকের কাছ থেকেই জানলাম, অষ্ট্রেলিয়ার তাইপেনই সবচেয়ে বিষধর। কিন্তু এর আগে একটা জার্নালে আমি পড়েছিলাম জলচর, জেলি ফিশের কথা। কারো কারো নামে ফিশ হলেও বিষধর সর্পজাতির মধ্যে সেটাকে গণ্য করা যায়। সে বিষয়ে জানতে চাইলে ভদ্রলোক জানালেন। তিনি জানেন না। বছর দেড়েক আগে জিওগ্রাফিক চ্যানেলের এক অনুষ্ঠানে জেলি ফিশ সম্পর্কে জানানো হলো যে ওটাই সবচেয়ে বিষধর।

৪.

এর কিছুদিনবাদে আবার সেই ড্রাইভার আবির্ভূত হলো। এবার আবার কী! কিঞ্চিৎ ভয়ও পেলাম। কিন্তু গিয়ে দেখি তিনি ছাড়া আর কেউ নাই। বাঁচা গেল। এবারের আলোচ্য বিষয় ছিল হিন্দি-উর্দু সিনেমার গান।

তিনি পিয়ানো বাজালেন বিভিন্ন গানের সুরে। তিনি গাইলেন, আমিও কণ্ঠ মেলালাম। মনে হলো তালাত মাহমুদ তাঁর প্রিয় কণ্ঠশিল্পী। এতে সন্দেহ নেই, তালাতের গাওয়া গানের লিরিকগুলো খুবই উন্নত মানের। কিন্তু গায়কীয় ব্যাপারে মোহাম্মদ রফিক যে সেরা, সেটা মান্না দে’র দোহাই দিয়ে বোঝাবার চেষ্টা করলাম। পরবর্তীকালে জীবনানন্দ বিষয়েও আমার ধারণার কথা তাঁর কাছে প্রকাশ করতে হয়েছিল। ‘বিভাব’ সাহিত্যপত্রের জীবনানন্দ সংখ্যা তিনি আগ্রহভরে চেয়েছিলেন। আমি দিয়েওছিলাম। বেশ কয়েক বছর পরে, আমার স্বাক্ষর করা সেই ‘বিভাব’ আমি একটা দোকান থেকে পুনরুদ্ধার করি। এ থেকে অনুমান করা যায়, অন্য কিসিমের লোকও তাঁর বাসায় যেত।

পক্ষান্তরে, বিস্ময়ের সঙ্গে ভাবতে হয়, বিলাতে থাকাকালীন তাঁর বাসায় কারা কারা যেতেন! তাঁর গভীর দেশানুরাগের এও এক প্রাপ্তি।

৫.

২০০২ সালের দিকে শহর ছেড়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলে আসি। গাছপালা পশুপাখি ঝর্ণাপাহাড় এরা আমার নিকট প্রতিবেশী। বিচিত্র সৌন্দর্যে আমি আনন্দিত। গাছপালা পশুপাখি সম্পর্কে বিজ্ঞ সহকর্মীদের কথাবার্তা শুনি। আমার কবিতার উপকরণগত পার্থক্য দেখা দিতে থাকে।

২০১১ সালের মার্চ কি এপ্রিল! সন্ধ্যার একটু আগে। কলিংবেলের শব্দ পেয়ে দরজা খুললাম। দেখি জামাল নজরুল ইসলাম স্যার; সঙ্গে আরও দশ-বারোজন শিক্ষক। তাঁদেরই একজন বললেন- স্যার মসজিদের কাছে গাড়ি থেকে নেমে আপনার বাসা খুঁজছিলেন। আমরা স্যারকে এগিয়ে নিয়ে এলাম।

তাঁর মতো বড়ো মাপের একজন মানুষ আমার বাসায় আসবেন, ভাবতেই পারিনি। দিন কয়েক আগে মহাকাশ বিজ্ঞানের সাধারণ কিছু তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আমি কৌতূহল প্রকাশ করেছিলাম। সেটা করেছিলাম আমার কবিতার স্বার্থেই, যাতে বিজ্ঞানের শুদ্ধতা যথাসম্ভব বজায় রেখে কল্পনার মায়াজাল বিস্তার করা যায়।

টেলিফোনযোগে যে আলাপচারিতা হয়েছিল, তারই পরিপূরক স্বরূপ তিনি কয়েকটি বই এবং জার্নাল প্রকাশিত কয়েকটি প্রবক্ত আমার জন্যে নিয়ে এসেছেন। এ রকম সৌজন্যে আমি অভিভূত হয়ে গেলাম।

সেই বৈঠকে মনোমুগ্ধকর অনেক কথাই তিনি বললেন। আলোচনাসূত্রে তিনি এও জানালেন যে, (অক্টোবর ২০১১) তাঁর বন্ধু ফ্রিম্যান ডাইসনের (প্রফেসর ইসেরিটাস, প্রিন্সটন, যুক্তরাষ্ট্র) প্রকাশিতব্য গ্রন্থ Infinit in all Direction এ অনেক জিজ্ঞাসার বৈজ্ঞানিক উত্তর পাওয়া যাবে।

মাস কয়েক পরের ঘটনা। আবার সেই ড্রাইভার, আবার সেই সাদা গাড়ি। তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে। ড্রাইভার আমাকে নিয়ে গেল গণিত ও ভৌত বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে। সেমিনার শুরু হয়ে গেছে। জামাল নজরুল ইসলাম স্যার ঈড়ংসড়ষড়মু বিষয়ে বক্তৃতা করছেন, সেই গ্রন্থে গাণিতিক চিত্র তুলে ধরেছেন সূত্রসহকারে। বø্যাকবোর্ডের কথাগুলো আমার বুঝবার কথা নয়।। আমি কেবল শ্রæতিনির্ভর হয়ে থাকলাম। কলা অনুষদের একজন ছাত্র এর বেশি আর কীই-বা করতে পারে। আমার মাথায় তখন অন্য চিন্তা ঘুরছে। সেমিনারে শ্রোতার সংখ্যা দশ পনের জনের বেশি নয় কেন?  অথচ ক্যাম্পাসে বসবাস করেন, এ রকম শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় শ’খানেক। তাঁদের অনেকেই বিজ্ঞানের ছাত্র। তারপরও শ্রোতার সংখ্যা দশপনের জন।

আমার মনে হয় না, শ্রোতার সংখ্যা বৃদ্ধির জন্যে সেদিন আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমার মতো নগণ্য এক ভক্তের কথা যে, তাঁর মনে ছিল- এই বদান্যতা আমি ভুলি কী করে!

৬.

পৃথিবীর বিভিন্ন-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করেছেন। বিলাতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকার পেশা ছেড়ে, স্বদেশের টানে, শেষমেশ যোগদান করলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে! তাও তিন হাজার টাকা বেতনে। অধ্যাপনা জীবনের এক পর্যায়ে তাঁর মনে হলো-যে দেশে যে সমাজে তাঁর জন্ম, তাঁর বেড়ে ওঠা, তাঁদের প্রতি তাঁর কর্তব্য রয়েছে। তাই, মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী সুরাইয়া ইসলামও তাতে সায় দিলেন। একজন বিজ্ঞানী যে এতোখানি আবেগপ্রবণ হতে পারেন, তা ভাবা যায় না।

তাঁর বাসায় নৈশভোজের টেবিলে বসে ভাবীকে বললাম, স্যারের এই সিদ্ধান্ত অনেকেই মেনে নিতে চাইবেন না। কোথায় সান্ধ্যকালীন আড্ডা দিতেন তিনি স্যার রজার পেনরোজ কিংবা ফ্রিম্যান ডাইসনের সঙ্গে, আর আজ তাঁকে আড্ডা দিতে হচ্ছে ময়ুখ চৌধুরী মার্কা লোকের সঙ্গে। এটা ভাবা যায়!

৭.

জামাল নজরুল ইসলাম স্যারের একটি বই ‘কৃষ্ণ বিবর’ (দ্বিতীয় পুর্নমুদ্রণ ২০১৮)। সেই বইয়ের শেষ মলাটে লেখা আছে - ‘কৃষ্ণ বিবর’ মহাকাশের এক বিস্ময়, যা সব কিছু টেনে নেয় নিজেরে গভীরে, এমন কি আলোও।

বাক্যটি পড়লেই আমার চোখে ভেসে ওঠে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আর জামাল নজরুল ইসলাম স্যারের মুখ।



০৫.০৩.২০১৮ইং




এই লেখাটি চট্টগ্রাম বশ্বিবদ্যিালয়রে বজ্ঞিান র্চচা কন্দ্রে থকেে প্রকাশতি বজ্ঞিান ম্যাগাজনি "কী ও কনে"-এর জামাল নজরুল ইসলাম সংখ্যা থকেে সংগৃহীত

কোন মন্তব্য নেই

enjoynz থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.