ইনসমনিয়া
যখন রাতেরা আরো অন্ধকার হয়
আর চাঁদ ডুব দেয় অ্যালকোহলে
পাহাড় গড়িয়ে নিচে পড়তে
থাকে পাথর
বোবাভাষার ভেতর দিয়ে, চুপচাপ
এক অদ্ভুত ডিলিরিয়াম
আমাকে ঘিরে ধরে
এবং এইরকম একেকটা রাত
সহজে পার হয় না
যতক্ষণ নৈঃশব্দ্যের ধ্বনি
ইথারে ভাসতে থাকে
অবসাদ ফিরে আসে
যেহেতু পূর্বজন্মে কৃষক ছিলাম
রৌদ্রস্নাত গ্রীষ্মের এই দিনে
ফসল কাটার মুহুর্তগুলো ছাড়া
সুখের স্মৃতি আর অবশিষ্ট নেই কোনো
রাস্তায় বিমর্ষ সহিস ঢেলে দিচ্ছে
মৃত ঘোড়ার শোক
মনে পড়ে বিগত ফসলের মাঠ
শুষ্ক গ্রামীণ নদীর কাছে এই নিজেকে সঁপে
দেওয়ার ঘটনা ছিলো শুধু
যখন পশ্চিমে হেলে যেতো সূর্যের মলিন মুখ
উড়ে যাওয়া ওই ব্যর্থ সারসের দলে
আমিও ছিলাম
যখন সন্ধ্যা নামে
জ্বরের সাথে যেমন
একান্ত সম্পর্ক রয়েছে পারদের
তেমনি,
নিঃসঙ্গতার সাথে গোপন
যোগাযোগ রয়েছে
সন্ধ্যার
ঘরে ফিরতে থাকা মানুষ
ও তাদের ব্যক্তিগত
মেলানকোলিয়া...
এসে জড়ো হয় অদৃশ্য
সেলারে
বৃষ্টিবিঘ্নিত এই শহরে
যখন সন্ধ্যা নামে,
সিনেমার মতো ইল্যুশন লেগে
থাকে রেলস্টেশনে
স্মৃতি হারিয়ে ফেলা মানুষদের
গভীর দীর্ঘশ্বাসে
ক্যামোফ্লেজ
দাঁড়িয়ে আছি ক্যামোফ্লেজের বারান্দায়। ভুলে যাচ্ছি—বিস্মৃতির রঙ ও চাবুক। পেন্সিলে এঁকে নিচ্ছি কিছু মলিন মুখ ও দুঃস্বপ্নের ভেতর শুয়ে থাকা—মৃত মানুষের হাসি। প্রতিরাতে,
ঘুমের ভেতর আত্নহত্যা করে যেসব ঘোড়া,
ওদেরও আস্তাবল ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় শীতের হাওয়া। মূলত, একমাত্র বৃক্ষেরা ছাড়া বাকী সবাই ছদ্মবেশী। আমিও তো,
ক্যামোফ্লেজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে—প্রতিনিয়ত,
অভিনয় করে যাচ্ছি ভালো থাকার
সাফায়াত হিমেল, শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, চবিএই কবিতাগুলো ছোটকাগজ হুইসেল-এর বিভিন্ন সংখ্যায় প্রকাশিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন