ময়ুখ চৌধুরীর লেখা কবিতার সংখ্যা গাছের পাতার মতো, কম নয়। কিন্তু তাঁর প্রকাশিত কবিতার পরিমাণ ফুলের মতো, অল্প, বাছাইকৃত। কবিতা
কোনো পত্রিকায় প্রথম
ছাপা হওয়ার ২৪ বছর পর প্রথম বই প্রকাশ করেছেন, এই তথ্যটা থেকে আমরা ধারনা করতে পারি
তিনি কতটা সংযমী। কবিতার পথে তিনি চলেছেন বুক ঘষে ঘষে। চাইলে হাঁটতেও পারতেন, কিন্তু
এ পথের প্রতিটি উপাদানকে তিনি অনুভব করে যেতে চেয়েছেন। তিনি ফাঁকি দেননি, কোনো ফাঁক
রাখতে চাননি। সেই কবি প্রকাশ করতে যাচ্ছেন
তাঁর দশম কবিতাগ্রন্থ ‘চরণেরা হেঁটে যাচ্ছে মুণ্ডুহীন’।
নামটা শুনে আমরা কল্পনা করতে পারি- একজন মানুষ হেঁটে যাচ্ছে যার মাথা নেই। কেন নেই? ময়ুখ চৌধুরী লিখেছেন,
চরণ এখানে কবি’র পা, পা দুটো হাঁটা থামায়নি, যদিও শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। যেহেতু কবি মাথা বিক্রী করেত চাননি। আমরা দেখেছি চাটুকার লেখকেরা কতরকম রাষ্ট্রীয় অনুগ্রহ, বিভিন্ন পুরষ্কারাদি গ্রহণ করছেন নিজেদেরকে বিকিয়ে দেয়ার বিনময়ে। অনুষ্ঠানবিমুখ ময়ুখ চৌধুরী সেসব মুকুটকে কখনো গুরুত্ব দেননি। সাহিত্যের কোনো মহাজন বা কোনো রাজনীতিকের কিংবা দলের মিথ্যে স্তুতি করেননি। হেলা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোভনীয় সব পদ। মগজের দামে তিনি মুকুট কিনতে চাননি যার ফলস্বরূপ মাথা কেটে ফেলার দণ্ড পেতে হয়ে তাঁকে।
নামটা শুনে আমরা কল্পনা করতে পারি- একজন মানুষ হেঁটে যাচ্ছে যার মাথা নেই। কেন নেই? ময়ুখ চৌধুরী লিখেছেন,
“মাথা বিক্রী করে যারা মুকুট কিনেছে
এ চরণ তাদের চরণ নয়।”
চরণ এখানে কবি’র পা, পা দুটো হাঁটা থামায়নি, যদিও শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। যেহেতু কবি মাথা বিক্রী করেত চাননি। আমরা দেখেছি চাটুকার লেখকেরা কতরকম রাষ্ট্রীয় অনুগ্রহ, বিভিন্ন পুরষ্কারাদি গ্রহণ করছেন নিজেদেরকে বিকিয়ে দেয়ার বিনময়ে। অনুষ্ঠানবিমুখ ময়ুখ চৌধুরী সেসব মুকুটকে কখনো গুরুত্ব দেননি। সাহিত্যের কোনো মহাজন বা কোনো রাজনীতিকের কিংবা দলের মিথ্যে স্তুতি করেননি। হেলা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোভনীয় সব পদ। মগজের দামে তিনি মুকুট কিনতে চাননি যার ফলস্বরূপ মাথা কেটে ফেলার দণ্ড পেতে হয়ে তাঁকে।
অথবা চরণ মানে কবিতার চরণ। যতদূর জেনেছি, নামযুক্ত বিভিন্ন কবিতার পাশাপাশি ‘চরণেরা হেঁটে যাচ্ছে মুণ্ডুহীন’ শিরোনাম দিয়ে শিরোনামহীন কয়েকটি কবিতা থাকছে বইটিতে। আক্ষরিক অর্থে নিলে সেসব কবিতার চরণগুলোই মুণ্ডুহীন তথা শিরোনামহীন হেঁটে যাচ্ছে। আমরা আসলে দুটো অর্থই নিতে পারি।
প্রকাশিতব্য গ্রন্থে প্রেম, দেশপ্রেম ও অন্যান্য প্রসঙ্গের
সাথে আমরা দেখতে পাব এই সময়ের অন্যায় ও অস্থিরতা; দর্জির ছেলে বিশ্বজিতের খুন হওয়া
কিংবা রানা প্লাজায় হাজারো শ্রমিকের নিহত হওয়ার যন্ত্রণা ও ক্ষোভ একজন প্রকৃত কবির
কাছে কীভাবে ধরা দিয়েছে। আমরা আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি একটি বইয়ের জন্য, কিছু কবিতার জন্য, যেসব কবিতার চরণেরা
ময়ুখ চৌধুরীর।
লেখক- দেওয়ান তাহমিদ। শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, চবি। সদস্য, হুইসেল সম্পাদনা পর্ষদ ।
ছবি- সনি
অামার প্রিয় কবি!
উত্তরমুছুনমুল্যয়নটাও সাহিত্যিক মান পেল।
উত্তরমুছুন